শনিবার; ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রি. Dashboard

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন দিন
সর্বশেষ :
বর্ণাঢ্য আয়োজনে "শব্দকথা সাহিত্য উৎসব" উদযাপন ও লেখক সম্মাননা প্রদান পঞ্চগড়ে ৯ কোটি টাকার আইস সহ যুবককে আটক করেছে বিজিবি রাজশাহীর মোহনপুরে বেড়েছে আলু চাষ কুড়িগ্রামে ফুল শিক্ষাবৃত্তি-২০২৪ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত পঞ্চগড় তেঁতুলিয়ায় মহানন্দা নদী থেকে ১০ রাউন্ড গুলিসহ পরিত্যক্ত অস্ত্র উদ্ধার
16 December

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিপূরণের দাবিতে বরিশালে যুবকদের সড়ক অবরোধ

প্রকাশিত: শুক্রবার; ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রি. - ০৯:০৯ পি.এম. | দেখেছেন: ১০০ জন।

জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিপূরণের দাবিতে বরিশালে যুবকদের সড়ক অবরোধ

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

মো: সিফাত ই মঞ্জুর রোমান

বরিশাল প্রতিনিধি:

 

 

বরিশাল জেলা উন্নয়ন সংগঠন ভিএসও ও বরিশাল জেলা ইয়ূথ ফোরামের আয়োজনে বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাংলাদেশের ক্ষতিগ্রস্ততার মাত্রা বিবেচনায় উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের দাবীতে পৃথিবীর প্রায় ১৫০টি দেশের সাথে সংহতি জানিয়ে ত্রিশ গোডাউন বদ্ধভূমি থেকে কীর্তনখোলা নদীর পাড় ধরে নিয়ে সড়ক অবরোধ করে বরিশালের প্রায় অর্ধশতাধিক যুব।

আয়োজনে অংশ নিয়ে বক্তব্য রাখেন বীর প্রতীক কে এস এ মহিউদ্দিন মানিক, বিসিসি প্যানেল মেয়র কোহিনূর বেগম, উন্নয়ন সংগঠক মো: রফিক , শালিণ্য স্বেছাসেবী সামাজিক সংগঠনের শিশু বিষয়ক সমন্বয়ক জোছনা বেগম, স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় যুব কাউন্সিল বরিশাল বিভাগীয় প্রতিনিধি ও ইয়ূথ ফোরাম বরিশাল বিভাগের সভাপতি কিশোর চন্দ্র বালা।

এসময় যুবদের পক্ষে জেলা রোভার স্কাউটসের দুজন সিনিয়র রোভারমেট প্রতিনিধি অভিজিত দাস ও মেহেদী হাসান, নারী উদ্যোক্তা রোজা শরীফ ও প্রজ্ঞা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী সুভাশীষ দাস, ইয়ূথ ফোরামের সহ-সভাপতি সৌরভ দাস তাদের বক্তব্যে বলেন- উন্নত দেশসমূহের বিলাসী জীবনের দায় আমাদের নিতে হচ্ছে কারন পৃথিবী একটাই আমরা সবাই মানুষ একি আলো-বাতাসে লালিত হই তাই এ বায়ুকে যারা দূষিত করে তাদেরি এর দায় নিতে হবে।

জল ও বায়ুর প্রতিনিয়ত দূষণের ফলাফল কতটা ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে তা ইতোমধ্যে দৃশ্যমান। অদূর ভবিষ্যতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সম্পর্কে এখনি সচেতন পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে পৃথিবী হতে পারে জীবনের অস্তিত্ব শূন্য। উন্নত বিশ্বের দেশগুলো প্যারিস চুক্তির শর্ত না মেনে অতিরিক্ত কার্বন নিঃস্বরণ করছে সাথে গ্রীন হাউজ ইফেক্ট ও বন উজার করার মত আত্মঘাতী ঘটনাগুলো বৈশ্বিক উষ্ণায়নের অন্যতম কারন হিসেবে পরিনত হয়েছে।

উত্তপ্ত পৃথিবীতে বরফ গলে বাড়ছে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ফলে নদীতে লবনাক্ততা ছড়িয়ে পরছে। মিঠা পানির জলজ জীবন যেমন হুমকির মুখে তেমনি চর্ম রোগ সহ নানান সংক্রমন ব্যাধিরও সম্ভাবনা লক্ষ্যনীয়। ক্ষতিকর গ্যাস ও অতিরিক্ত কার্বন বাতাসে মিশে রায়ুমন্ডলের ক্ষতির করছে ফলে প্রাকৃতিক দূর্যোগ সহ নানান মহামারীও ইতোমধ্যে দেখা দিয়েছে। অনাবৃষ্টি ও খরা, সুপেয় পানির সংকট, ভূর্গস্থ পানির স্তর আরো নিচে নেমে যাওয়ায় কৃষি সহ প্রাণির জীবন ধারণের অতিব প্রয়োজনীয় খাদ্য ও পানির সংকট ক্রমাগত ভয়াবহ রুপ ধারণ করছে। ব্যক্তিপর্যায়ে সচেতনার যেমন বিকল্প নেই তেমনি বিশ্ব নেতাদের থেকে ক্ষতিগ্রস্ত রাষ্ট্র হিসেবে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ আদায়েও থাকতে হবে সোচ্চার।

বিশ্বের উচ্চ আয়ের দেশ সমূহ সবচাইতে বেশি কার্বন নিঃস্বরণ করছে। এক গবেষণায় বলা হয়েছে প্রায় ৪০% কার্বণ নি:স্বরণ করে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এরপর প্রায় ২২% যুক্তরাষ্ট্র এছাড়া চীন, রাশিয়া, ইউরেশিয়া, জাপান, ভারত ও অন্যান্য দেশ সমূহ ১-৯% পর্যন্ত কার্বন নিঃস্বরণ করছে। প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী ২০৫০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসের নিচে রাখতে হবে এবং শতাব্দির শেষের মধ্যে বৈশ্বিক তাপমাত্রা ২ ডিগ্রী সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখা হবে, অথচ যুক্তরাজ্যের মেট অফিসের দীর্ঘকালীন আবহাওয়া পূর্বাভাসের প্রধান অ্যাডাম স্কেইফ বলেছেন, ২০২৭ সালের মধ্যে পৃতিবীর তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসে উন্নিত হবার সম্ভাবনা ৬৬% ।

বাংলাদেশ তথা উপকূলীয় অঞ্চল হিসেবে বরিশালের নদীতে লবনাক্ততা, নদী ভাঙ্গন, ডায়রিয়া ও চর্ম রোগের প্রাদুর্ভাব, কৃষি জমিতে একবারের বেশি ফসল না ফলা, সুপেয় পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়া সহ নানান সংকট দেখা দিয়েছে। উপরন্তু সড়ক নির্মান সহ নানান উন্নয়ন প্রকল্পের কারনে কাটা হচ্ছে শতবর্ষী নানান প্রজাতির গাছ। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কেবল একটি বা দুটি দিকে প্রভাব ফেলবে এমন নয় পুরো সৃষ্টির প্রায় সকল ক্ষেত্র- জীবন, জীবিকা, উন্নয়ন, প্রাকৃতিক পরিবেশ, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, ভ‚-প্রকৃতি এমনকি সৌর জগতে পৃথিবীর অবস্থানকেও প্রভাবিত করতে পারে। সার্বিক বিবেচনায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় স্থানীয়ভাবে বৃক্ষরোপণ, নিরাপদ বজ্য ব্যবস্থাপনা, প্লাস্টিকের ব্যবহারে সচেতনতা, নদী দূষণ রোধ, বন উজার বন্ধ করা, উন্নয়ন কর্মকান্ডে সবুজায়ন নীতি প্রনয়ন করা।

বৈশ্বিকভাবে উন্নত রাষ্ট্রগুলোকে কাবর্ন নি:স্বরণে নিবৃত্ত করা ও ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্থ নিন্মআয়ের/স্বল্পন্নোত দেশগুলোকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেয়ার বিষয়ে উৎসাহী করতে জাতিসংঘ সহ সকল দাতা সংস্থার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য সম্মিলিত আওয়াজ তুলতেই হবে- "WE DO NOT HAVE TIME".

 

 

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন দিন