রিয়াজুল হক সাগর,
রংপুর।
আসন্ন ঈদুল আজহাকে ঘিরে রংপুর নগরীসহ বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে জমেছে পশুর হাট। শহরের চেয়ে গ্রামের হাটগুলোর দিকে ঝুঁকছেন মানুষজন। ছাগলের হাট এলোমেলো থাকলেও সারি-সারি করে সাজানো রয়েছে বিভিন্ন রং ও সাইজের গরু।
ক্রেতারাও খুঁজছেন তাদের সামর্থ্যরে মধ্যে ভালো গরু। রংপুরের, লালবাগ, বুড়িহাট, বেতগাড়ী,পানবাজার,গঞ্জিপুর,তারাগঞ্জে বসা পশুর হাটগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, মানুষের উপচেপড়া ভিড়। পা রাখার জায়গা নেই কোথাও। হাটে প্রবেশ করতে এক প্রকার যুদ্ধই করতে হচ্ছে ক্রেতা বিক্রেতাদের। তবে হাটগুলোতে বেচাকেনা হচ্ছে খুবই কম। দর কষাকষিতে সন্তুষ্ট হচ্ছেন না ক্রেতা-বিক্রেতা কেউই।
ক্রেতাদের অভিযোগ বেশি দাম চাচ্ছেন বিক্রেতারা, অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছেন লাভজনক দাম হাঁকাচ্ছেন না কোনো ক্রেতাই।গঞ্জিপুরহাটে গরু কিনতে আসা ক্রেতারা বলেন,গত বছর যে সাইজের গরু এক লাখ বিশ হাজার টাকায় কিনেছি এ বছর সেই সাইজেরই গরু এক লাখ ৮০ হাজার টাকা চাচ্ছে। এরকম দাম থাকলে কীভাবে গরু কিনবো।
ক্রেতা আব্দুর রহিম বলেন প্রতি বছর তিন ভাই মিলে গরু কোরবানি দেই,যে বাজেটে গরু কিনতে আসছি, সে বাজেটে ছোট গরু হয়। যা দিয়ে আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী, গরিবদের সন্তুষ্ট করা সম্ভব নয়।
এদিকে গঞ্জিপুরহাট ইজারাদার মিস্টার আহমেদ বলেন আমাদের গঞ্জিপুর হাটে সুষ্ঠু পরিবেশে গরু ও ছাগল কেনাবেচা হচ্ছে আমরা মাইকে সতর্কবার্তা জানিয়ে দিচ্ছি যাতে মানুষ কোন হয়রানির শিকার না হয়।