বিজ্ঞাপন
কুড়িগ্রামে বিভিন্ন নদীর বিস্তীর্ণ চরে মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলন
বিজ্ঞাপন
আনোয়ার সাঈদ তিতু,
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামে ধরলা, তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদীর বিস্তীর্ণ চর ও বালুচর সমুহে মিষ্টি কুমড়া বাম্পার ফলন হয়েছে। নদীর বুক জুরে সবজি জাতীয় এ ফসলের ক্ষেত দেখে মন ভরিয়ে যায়।
বর্তমানে চলছে চাষাবাদকৃত ক্ষেত থেকে চাষীদের কুমড়ো তোলার মহোৎসব। এবারে ফলন ও দাম ভালো হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উলিপুর উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়নের কর্পূরার চর, চর রামনিয়াসা,চর চাপরারপাড়া, থেতরাই ইউনিয়নের গোড়াইপিয়ার চর বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের আকেল মামুদ ,বালাডোবা , সাহেবের আলগা ইউনিয়নের কাজিয়ার চর, নামাজের চর , জাহাজের আলগা , দই খাওয়া গেন্দার আলগা ,
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার মোগল বাসা ইউনিয়নের চর সিতাইঝাড় ও চর কৃষ্ণপুর সহ ধু-ধু করা বালুচর সমুহের আগাম জাতের এসব মিষ্টি কুমড়ার ক্ষেত দেখে যেনো চোখ জুরে যায়। বর্তমানে কৃষাণ- কৃষাণিরা আবাদের সবজি বাজারজাত করার জন্য ক্ষেত থেকে উত্তোলন করছেন কমড়ো।
আর সে গুলো স্থানী হাট-বাজারসহ পার্শ্ববর্তি জেলা ও উপজেলার হাট-বাজারে সরবারহ করা হচ্ছে। ফলে ক্রেতা সাধারণ নতুন সবজি হিসাবে একটু বেশী মূল্যে হলও তা ক্রয় করতে পারছেন।
এসময় ক্ষেতের মধ্যে মিষ্টি কুমড়া নিতে আসা কাঁচামাল ব্যবসায়ী বেলাল ও আব্দুল মতিন জানান, বর্তমান বাজারে কুমড়ার নতুন আমদানি হওয়ায় বাজারে চাহিদা রয়েছে। তাই গতবারের তুলনায় এবারে দাম অনেকটা বেশি।
কৃষক আব্দুল মালেক, হাবিবুর রহমান ও শমসের আলীর সাথে কথা হলে তারা জানান, অনাবাদী পতিত জমিতে এবার অন্য সবজির থেকে মিষ্টি কুমড়ো চাষ করে বাড়তি আয় করায় আমরা খুশি।
এসব অঞ্চলের অভাবী প্রান্তিক ও বর্গাচাষীদের মাঝে প্রয়োজনীয় কৃষি পরামর্শ, প্রণোদনা, উন্নত বীজ সরবারহ করতে পারলে বিভিন্ন জাতের সবজি উৎপাদন করা সম্ভব হবে বলে সচেতন মহল মনে কারেন ।
এ ব্যপারে উলিপুর উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাজেদুল করিম এ প্রতিবেদককে জানান, বালু ও পরিত্যক্ত ভূমিতে কুমড়া আবাদ করা হয় একেবারেই কম খরচ হেক্টর প্রতি ৪০ টন উৎপাদন হয় ।
তবে এবার ভুট্টারাবাদ বেশি থাকায় কুমড়া চাষাবাদ কম খরচে কৃষকরা তারপরও কিভাবে ভাল ফসল উৎপাদন করা যাবে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন