সোমবার; ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রি. Dashboard

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন দিন
সর্বশেষ :
সারিয়াকান্দি ব্লাড ডোনেট ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ ফুলবাড়ীতে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে ত্রৈমাসিক সভায় শপথ গ্রহণ মনোহরদীতে সন্ত্রাসী বাহিনী'র হামলায় বিএনপির নেতা আহত যুবদল নেতা হত্যার বিচার দাবিতে কুড়িগ্রামে মানববন্ধন ৫৯ বিজিবি‘ কতৃক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ছাত্রকে অনুদান প্রদান
16 December

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

কুড়িগ্রামের চরে কোটি কোটি টাকার মাসকলাই ডাল উৎপাদন সম্ভবনা

প্রকাশিত: সোমবার; ২২ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রি. - ১১:৫৭ পি.এম. | দেখেছেন: ১৪১ জন।

কুড়িগ্রামের চরে কোটি কোটি টাকার মাসকলাই ডাল উৎপাদন সম্ভবনা

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

আনোয়ার সাঈদ তিতু,

কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:

 

 

 

কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলে বাড়ছে মাসকালাই ডালসহ বিভিন্ন ফসলের আবাদ। ভালো ফলনের পাশাপাশি দাম বেশি পাওয়ায় খুশি স্থানীয় চাষিরা। এবার জেলায় মাসকলাই উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৫৫৭ টন। যার বাজারদর প্রায় ২৩ কোটি টাকা।

কুড়িগ্রামের উপর দিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা ও দুধকুমারসহ ১৬টি নদ-নদীর অভ্যন্তরে দ্বীপচরবাসীদের দুঃখের সীমা ছিল না। সনাতন পদ্ধতিতে কিছু ফসলের আবাদ হলেও উৎপাদন ছিল খুবই কম। এখন সেই চিত্র পাল্টেছে অনকেটাই। বিভিন্ন ফসলে লাভের মুখ দেখছেন এখানকার চাষিরা।

উলিপুর, চিলমারী, রৌমারী, রাজিবপুর ও সদরের দেড় শতাধিক দ্বীপচরে এবার হয়েছে মাসকালাই ডালের আবাদ। বিশেষ করে মাসকালাই ডালের জন্য দোআঁশ মাটি থাকায় এখানে এবার ব্যাপকভাবে বেড়েছে চাষ। জেলায় এক হাজার ৩৯৮ হেক্টর জমিতে উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৫৫৭ টন মাসকলাই। যার বাজারমূল্য প্রায় ২৩ কোটি টাকা।

চাষিদের একজন বলেন, '৪ বিঘা জমি আবাদ করে ৯ মণ মাসকালাই ডাল পেয়েছি। এবার যে দাম আছে তাতে আমরা লাভবান হবো।'

সদরের যাত্রাপুর ও চিলমারীর জোড়গাছ হাটে মাসকালাই ডালের বেচাকেনা বেশ জমজমাট। প্রতি মণ বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ৭শ' টাকায়। যা গতবারের চেয়ে এক হাজার টাকা বেশি। পাইকারদের হাত ঘুরে মহাজন ও মিলারদের মাধ্যমে এসব ডাল যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।

চাষিদের আরেকজন বলেন, 'গতবার ৩৬শ’ থেকে ৩৭শ’ টাকা মণ করে বিক্রি করেছি। এবার ৪৭শ' টাকা মণ করে বিক্রি হচ্ছে।'

চরে মসকলাইসহ বিভিন্ন ফসলের আবাদ বাড়াতে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি বিভিন্ন সহায়তা দিয়ে আসছে জেলা কৃষি বিভাগ।

কুড়িগ্রাম জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা ড. মো. মামুনুর রহমান বলেন, 'আমরা মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের প্রযুক্তিগত জ্ঞান দিয়ে যাচ্ছি। তাদের উৎপাদন যেন বেশি হয় সে বিষয়ে তাদেরকে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।'

সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে চরে শুধু ডাল নয়, অন্যান্য ফসল আবাদও বাড়াতে চান এখানকার চাষিরা।

 

 

 

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন দিন