বিজ্ঞাপন
"লাউবেগুন" চাষে সাড়া ফেলেছেন কুড়িগ্রামের এরশাদ
বিজ্ঞাপন
আনোয়ার সাঈদ তিতু,
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
প্রথমে তাকালে মনে হবে লাউ। কিন্তু উন্নত জাতের বেগুন এটি। এ জাতের বেগুন দেখতে লাউয়ের মতোই। স্থানীয়রা এই বেগুনের নাম দিয়েছে ‘লাউবেগুন’। এক থেকে দেড় কেজি ওজন এ বেগুনের। প্রতিদিন লাউবেগুন দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন বিভিন্ন এলাকার মানুষ। এমনি এক উন্নত জাতের বেগুন চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন কৃষক এরশাদ আলী। তিনি ওই বেগুনের চাষ করেছেন কুড়িগ্রামের রাজীবপুর উপজেলার কোদালকাটি ইউনিয়নের মণ্ডলপাড়া এলাকার চরে। গতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিন এসব তথ্য জানা গেছে।
কৃষি উদ্যোক্তা এরশাদ আলী বলেন, ১০ বছর ধরে কৃষিকাজ করছেন তিনি। প্রতি বছর শীত মৌসুমে ৬০ শতাংশ জমিতে দেশি বেগুন, টমেটো, পেঁয়াজ, ফুলকপি, বাঁধাকপি চাষ করেন। কিন্তু তেমন সফলতা অর্জন করতে পারেননি। এ বছর ২০ শতাংশ জমিতে বারি-১২ জাতের বেগুন চাষ করেছেন। এতে তার ব্যয় হয়েছে দুই থেকে তিন হাজার টাকা। তিন মাস ১০ দিনের মধ্যে এক একটি বেগুন এক থেকে দেড় কেজি ওজন হয়েছে। তাঁর দাবি, কেজিপ্রতি বেগুন ৬০ টাকা দরে বিক্রি করে এখন পর্যন্ত সাড়ে তিন লাখ টাকার বেগুন বিক্রি করেছেন। দাম স্থিতিশীল থাকলে আরও দুই-আড়াই লাখ টাকার বেগুন বিক্রি করবেন তিনি। তবে কী পরিমাণ লাভ হবে, তা বেগুন চাষ করার আগে কল্পনাও করতে পারেননি তিনি।
কথা হয় স্থানীয় আমিনুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, এ বছর বারি-১২ জাতের বেগুন চাষ করে সফলতা অর্জন করেন এরশাদ আলী। তাঁর ক্ষেতের এক একটি বেগুনের ওজন এক থেকে দেড় কেজি পর্যন্ত। এ বেগুন চাষ দেখে অভিভূত তিনি। এরশাদের বারি-১২ জাতের বেগুন চাষ করা দেখে আগামীতে বেগুন চাষের পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর।
রাজীবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রতন মিয়ার ভাষ্য, এ উপজেলায় প্রথম বারের মতো বারি-১২ জাতের বেগুন চাষ হয়েছে। কৃষক এরশাদ আলীকে বিনামূল্যে বীজ ও সার দিয়ে পরীক্ষামূলক বারি-১২ জাতের বেগুন চাষ করানো হয়। বেগুনের ফলন ভালো হওয়ায় অনেকে দেখতে ভিড় করছেন তাঁর ক্ষেতে।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন