রবিবার; ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রি. Dashboard

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন দিন
সর্বশেষ :
স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতির ওপর হামলা প্রতিবাদে মোহনপুরে বিক্ষোভ মিছিল রংপুর সাহিত্য-সংস্কৃতি পরিষদের ১১৭৬তম সাহিত্য বৈঠক অনুষ্ঠিত কুড়িগ্রামে কৃষক দলের নতুন আহবায়ক কমিটি নিয়ে দলবাজি ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় কুড়িগ্রামে আঃ লীগের ৮৫ নেতাকর্মীর নামে মামলা ফুলবাড়ীতে ১ দফা দাবিতে মানববন্ধন
16 December

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

সর্বনাশা চায়না দুয়ারী কারেন্ট জাল ও ইলেকট্রিক শক দিয়ে ধংস করছে দেশীয় পোনা মাছ

প্রকাশিত: মঙ্গলবার; ৯ জুলাই, ২০২৪ খ্রি. - ০৩:০৮ এ.এম. | দেখেছেন: ৯৪ জন।

সর্বনাশা চায়না দুয়ারী কারেন্ট জাল ও ইলেকট্রিক শক দিয়ে ধংস করছে দেশীয় পোনা মাছ

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

মোঃ আব্দুল আউয়াল বাবু

স্টাফ রিপোর্টার:

 

 

 

একে চায়না দুয়ারী, ম্যাজিক জাল এবং ঢলুক জাল (টেপাই জাল) নামেও ডাকা হয়। এটিকে জাল হিসেবে বর্ণনা করা হলেও, মৎস বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে চায়না দুয়ারী মূলত মাছ ধরার এক ধরণের ফাঁদ। এই জালের বুননে একটি গিঁঠ থেকে আরেকটি গিঁঠের দূরত্ব খুব কম, যে কারণে এতে মাছ অথবা যে কোন প্রাণী একবার ঢুকলে আর বের হতে পারে না।

 

এজন্য জেলেদের অনেকে এই জাল ব্যবহার করে খুশী। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়ে বলছেন যে এ জাল মাছসহ জলজ জীববৈচিত্র্যের জন্য কারেন্ট জালের চাইতেও ভয়ংকর ও ক্ষতিকর। দেশে শুরু হয়েছে বর্ষাকাল। আর বর্ষাকাল মানেই পানিতে চারদিক থৈ থৈ। খালে-বিলে বর্ষার নতুন পানিতে দেখা মেলে দেশীয় প্রজাতির নানান জাতের মাছ।

 

এ বর্ষাতেও এবার হাতীবান্ধা উপজেলার সতিনদী, সানিয়াজান ও তিস্তা নদীর খালে-বিলে তেমন দেখা মিলছে না দেশীয় প্রজাতির মাছের৷ বিপজ্জনক চায়না দুয়ারী,কারেন্ট জালে ও ইলেকট্রিক শকে অবাধ ব্যবহারে খালে বিলে কমে যাচ্ছে এসব দেশীয় প্রজাতির মাছ।

 

বর্ষা হলেই এসব খাল-বিল পানিতে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। আর সেসময় নতুন পানিতে দেশীয় প্রজাতির নানান জাতের মাছ ধরতো মৎস্য শিকারীরা। বিগত ৩ বছর আগেও এ উপজেলায় মাছ ধরার জন্য দেশীয় ফাঁদ ব্যবহার করা হতো। ছাই, ফলো, ঠেলা জাল, বর্শি ইত্যাদি ফাঁদ দিয়ে মাছ শিকার গেলে এতে মাছের কমে যাওয়া নিয়ে সংশয় ছিলো না। কিন্তু বর্তমানে চায়না দুয়ারী, ইলেক্টিক শক বা কারেন্ট জাল মাছের বংশ বিস্তার নিঃশেষ করে দিচ্ছে।

 

কতিপয় কিছু অসাধু ব্যক্তি এই ম্যাজিক জালের মাধ্যমে শত শত মন দেশীয় পোনা মাছ ধ্বংস করছে। গত কয়েকদিনে সরেজমিনে কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অসাধু শিকারীরা নিজেদের খাওয়া ও বিক্রয়ের জন্য কারেন্ট জাল এবং চায়না দুয়ারী জাল ব্যবহার করে মাছ শিকার করছেন।

 

এ সময় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চায়না দুয়ারী জাল ব্যবহার করা এক মৎস্য শিকারী জানান, এ জালে যেকোনো মাছের পাশাপাশি সাপ,ব্যাঙের পাশাপাশি অন্যান্য জলজ প্রাণী ধরা দেয়। খালে-বিলে নতুন পানি আসলেই তারা এ জাল ব্যবহার করেন বলেও জানান তিনি।

 

অবিলম্বে চায়না দুয়ারী কারেন্ট জাল ও ইলেকট্রিক শক দিয়ে মাছ ধরা নিষিদ্ধ ও আইনগত ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে দেশীয় জাতের মাছ আর পাওয়া যাবেনা বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। সর্বনাশা ম্যাজিক জাল (টেপাই জাল) বন্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এই ম্যাজিক জাল বন্ধ না হলে, আমাদের দেশীয় মাছগুলো অচিরেই বিলুপ্ত হয়ে যাবে।

 

 

 

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন