শুক্রবার; ১১ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রি. Dashboard

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন দিন
সর্বশেষ :
বেহাল দশায় ১ম শ্রেণীর পৌরসভা কুড়িগ্রামের রাস্তার মোহনপুরে ফিড মিলের বয়লার বিস্ফোরণে আহত ৪ শ্রমিক দূর্গাপুজা উপলক্ষে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের মন্দির পরিদর্শন ফুলবাড়ীতে বৈষম্য দূরীকরণে এমপিও ভূক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের লক্ষ্যে প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত আধিপত্য বিস্তারে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে কার্যালয় ভাঙচুর, আহত-৮
16 December

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

টানা বৃষ্টিতে সীতাকুণ্ডের লাখো উপকূলীয়বাসীদের চরম দূর্দশা, বিলুপ্ত বাঁধ নির্মানের দাবী

প্রকাশিত: মঙ্গলবার; ২ জুলাই, ২০২৪ খ্রি. - ০২:১৮ পি.এম. | দেখেছেন: ৬১ জন।

টানা বৃষ্টিতে সীতাকুণ্ডের লাখো উপকূলীয়বাসীদের চরম দূর্দশা, বিলুপ্ত বাঁধ নির্মানের দাবী

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

 

রাফি চৌধুরী,

সীতাকুণ্ডঃ

 

 

চট্টগ্রামে সীতাকুণ্ডের ৪৫ কিলোমিটার এলাকায় লাখো উপকূলীয় বাসীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে টানা বৃষ্টিতে, বিলুপ্ত বেঁড়ীবাধ দিয়ে প্রবল শ্রোতে পানি প্রবেশ করছে উপকূলীয় গ্রামগুলোতে।

 

সীতাকুণ্ডের উপকূলীয় গ্রাম সলিমপুর, ফৌজদারহাট, ভাটিয়ালী, ইমামনগর জেলেপাড়া, মাদামবিবিরহাট, কদম রসুল, শীতলপুর, জোড়া- মতল, কুমিরা ঘাটঘর, জেলেপাড়া, আকিলপুর, নডালিয়া, মান্দারীটোলা, গুলিয়াখালী, ভাটেরখীল, পশ্চিম সৈয়দপুর, শেখেরহাট, পশ্চিম বহরপুর এলাকার বাসিন্দাদের থেকে জানা যায়, গত কদিনের টানা বৃষ্টিতে ও ভাঙ্গা বেঁড়িবাধ দিয়ে প্রবল শ্রোতে বানের পানি প্রবেশ করছে গ্রামে।

 

অনেকের ঘরে গত কয়দিন ধরে হাটুপানি,পারছেনা সাংসারিক কাজকাম করতে,পারছেনা রান্নাবান্না করতে,দিন মজুদের কষ্টেরতো সীমাই নেই। নেই ঘরে খাদ্য, নেই কাজ। কৃষকদের কৃষি সম্পূর্ন নষ্ট হয়ে গেছে। বাঁশবাড়ীয়ার ইউনিয়নের নুনাছড়া গ্রামের মোঃ আলী জানায়, ১৯৯১ সালে ঘুর্নিঝড়ে সীতাকুণ্ডে হাজার হাজার উপকূল বাসী মারা যাওয়ার পর তৎকালীন পানিসম্পদ মন্ত্রী এল কে সিদ্দিকীর উদ্যোগে বার আউলিয়া থেকে মীরসরাই প্রযন্ত বেড়িবাঁধ নির্মান করে, এরপর পরবর্তী জলোচ্ছ্বাসে জোড়া মতল এলাকায় আধা কিলোমিটার, বাঁশ বাড়িয়া আকিলপুরে এককিলোমিটার এলাকায় বেড়িবাঁধ বিলীন হয়ে যায়, এর পর নামমাত্র মেরামত করা হলেও সাগরের জোয়ারে আবারো বিলীন হয়ে যায়।

দুবারই মেরামতের নামে সরকারী কোটি কোটি টাকা সাগরের পানিতে ভাসিয়ে দিয়েছে, কিছু সংশ্লিষ্টদের পকেটস্থ হয়ে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়েছে, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তিনি জরুরী ভাবে দুর্নীতিমুক্ত বেঁড়িবাধ নির্মান দাবী করেন। সরকারী সাহায্য খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ করারও দাবী জানান।

 

সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে এম রফিকুল ইসলাম প্রতিনিধি কে জানায়, সাগরে ঘূর্ণীঝড়ের সংকেত পেলে আমরা উপকূলবাসীকে নিরাপদ স্থানে সাইক্লোন সেন্টারে আসার জন্য অনুরোধ করি, কিন্তু তারা বাড়ী ছেড়ে আসতে চায়না, সাইক্লিং সেন্টারে আমরা খাদ্যের ব্যবস্থা রয়েছে, এবং যারা আসে তারা পেয়ে থাকে। তারপরও সবাই যাহাতে পায় আমরা চেষ্টা করছি। 

 

 

 

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন