বুধবার; ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ খ্রি. Dashboard

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন দিন
সর্বশেষ :
কুড়িগ্রামে কেন্দ্রীয় জামায়াতের নেতার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল জাদুকাটা নদীর পাড় কেটে খনিজ বালি পাথর চুরিকান্ডে ফের তিন জন আটক লালমনিরহাটে এটিএম আজহারের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ যতদিন পানি না আসবে ততদিন 'জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই' আন্দোলন: আমীর খসরু কুড়িগ্রামে 'অপারেশন ডেভিল হান্টে' আরো ১২ জন গ্রেফতার

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন দিন

কুড়িগ্রামে লাশ উদ্ধারের ১৩ দিন, গ্রেফতার হয়নি আসামি

প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার; ১ আগস্ট, ২০২৪ খ্রি. - ০২:৪৮ পি.এম. | দেখেছেন: ৪২ জন।

কুড়িগ্রামে লাশ উদ্ধারের ১৩ দিন, গ্রেফতার হয়নি আসামি

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন দিন

 

আনোয়ার সাঈদ তিতু,

কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:

 

 

 

কুড়িগ্রামের চিলমারীর ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে একজন কলেজছাত্রের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা করেছে নিহতের পরিবার। লাশের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অপেক্ষামান। এদিকে এ ঘটনায় ১৩ দিন পার হলেও এখন পর্যন্ত কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

 

তবে পুলিশ বলছে, অভিযান অব্যাহত রয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে।

থানা সূত্রে জানা গেছে, মৃত্যুর ঘটনায় উপজেলার দুই শিক্ষার্থীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৫-৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন নিহতের পরিবার। আসামিরা হলেন উপজেলার ছোট কুষ্টারী এলাকার ফজলুল হকের ছেলে সিনান স্বচ্ছ (২১) ও সামস পাড়ার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে ইউসুফ আহমেদ জায়েদ (১৯)।

 

নিহত কলেজছাত্রের নাম জোবায়ের হোসেন আমিন (১৯)। তিনি উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের মন্ডল পাড়া গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে। কারমাইকেল কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

নিহতের পরিবার ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ জুলাই রাত ১০টার দিকে স্বচ্ছ ও জায়েদ জোবায়েরকে বাড়ি থেকে ডেকে মোটরসাইকেলে করে নিয়ে যান। পরে রাত ১টার দিকে জোবায়েরের মা তাকে ফোন দিলে দ্রুত বাড়ি ফেরার কথা জানান। কিন্তু রাত ৩টার দিকে খবর আসে জোবায়ের নদীতে পড়ে গেছে। পরে নদীতে অনুসন্ধান করেও কোনও খোঁজ মেলেনি। ঘটনার একদিন পর ১৯ জুলাই নৌবন্দরের পন্টুনের দক্ষিণে জোবায়েরের লাশ ভেসে ওঠলে পুলিশ তা উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।

 

নিহতের পিতা আব্দুল জলিল আমিন জানান, আমি হত্যা মামলা করেছি। তবে আসামি ধরার ব্যাপারে পুলিশ কেন গড়িমসি করছে সেটি আমার বুঝে আসছে না। নৌ-থানার যে কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তিনি জনবল না থানায় অপারগতা প্রকাশ করেছেন।

 

চিলমারী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির এসআই ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) নাজমুল হক বলেন, আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। চিলমারী মডেল থানার পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। আসলে কিছুদিন ধরে বৈরী আবহাওয়ার কারণে কার্যক্রম চালতে পারিনি। তবে আশা করা যাচ্ছে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামি গ্রেপ্তার করা হবে।

 

 

 

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন দিন