বিজ্ঞাপন
মাদক চোরাকারবারিদের দৌরাত্ম বন্ধের দাবীতে গণ অভিযোগ
বিজ্ঞাপন
ওসমান গনি,
লালমনিরহাটঃ-
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার সীমান্ত দিয়ে অবাধে আসছে ভারতীয় গরু, ফেন্সিডিল,গাজা,ইয়াবা। জনবল সংকটের অজুহাতে পুলিশ,বিজিবি'র তৎপরতায় স্থবিরতার সুযোগে চোরাকারবারিদের দৌরাত্ম চরমে উঠেছে।
চোরাকারবারিদের তৎপরতা বন্ধের দাবীতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, এলাকাবাসি ও সুশিল সমাজ গত ২ ডিসেম্বর লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক বরাবরে ৭২ জনের স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন।
প্রসঙ্গত, গত ২২ নভেম্বর কালীগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী ঘোঙ্গাগাছ এলাকার বিপ্লব মিয়ার বাড়িতে প্রকাশ্যে মাদক সেবনকালে এলাকাবাসি বাঁধা দিতে গিয়ে হামলার শিকার হয়। মাদক সেবীরা ও চোরাকারবারিদের সঙ্গবদ্ধ একটি দল গোলাম মোস্তফা নামের প্রতিবাদকারীর বাড়িঘরে হামলা করে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়। তাদের মধ্যে ০৪ জনকে কালীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়। পরে, ভুক্তভোগী গোলাম মোস্তফা বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় ১২জনকে আসামী করে একটি এজাহার দাখিল করে।
গণ-অভিযোগ ও এজাহার সুত্রে জানা গেছে, জেলার কালীগঞ্জ উপজেলা গোড়ল ইউনিয়নের বুড়িরহাট বিওপি সংলগ্ন ঘোঙ্গাগাছ এলাকার বাসিন্দা মৃত আব্দুস সোবহানের পুত্র মোঃ বিপ্লব মিয়া(৩০), মোঃলাবলু মিয়া (৩৫) ও তাদের মা' সহ সংঘবদ্ধ চক্রটি দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক চোরাকারবার চালিয়ে যাচ্ছে। নিজের বাড়িতে দিনে দুপুরেই ইয়াবা-ফেনসিডিল বিক্রয় ও সেবনের আসর বসানোর মাধ্যমে নানাবিধ অশ্লীল কর্মের অভয়ারণ্য গড়ে তুলেছে বলে এলাকাবাসির দাবী।
এতে এলাকার উটতি বয়সের যুব সমাজ বিপদগামী হয়ে নেশার জগতে ঝুঁকে পড়ছে। এসব বন্ধে এলাকাবাসী বাঁধা দিলে উল্টো তাদেরকে মামলা মোকদ্দমার ভয় দেখানো সহ জীবন নাশের হুমকি দেয়া হয়।
স্থানীয় গোড়ল ইউপি সদস্য গাজী মন্ডল জানান, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির কারনে সীমান্ত এলাকায় চোরাকারবারিদের দৌরাত্ম বেড়ে গেছে। এসব বন্ধে পুলিশ- বিজিবি ও এলাকাবাসী একযোগে আন্তরিক ভাবে এগিয়ে আসতে হবে।
স্থানীয় মো.শাহজাহান আলী জানান, বিপ্লবের বাড়িতে প্রতিনিয়তই অপরিচিত লোকজন আসে। তারা মাদক ক্রয় করে অন্যত্র নিয়া যায়। প্রতিদিন তার বাড়িতে মাদক সেবনের আসর বসে এবং বিভিন্ন জায়গা থেকে নারী নিয়ে এসে পতিতা বৃত্তির মত ঘৃণিত ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
সীমান্ত বাজারের ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম কারী, নওদাবাস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জিয়াউল হক সহ এলাকাবাসির দাবী, সাম্প্রতিক সময় বুড়িরহাট সীমান্ত এলাকা দিয়ে ব্যাপক হারে ভারত থেকে ফেনসিডিল, ইয়াবা, গরু, হিরোইনসহ বিভিন্ন ব্রান্ডের মদ, পাচার হয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরে প্রবেশ করছে। এসব চোরাচালানের সাথে প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত এলাকার কতিপয় কিছু অসাধু লোক।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব অবৈধ কাজে সহযোগিতা দিয়ে আসছে স্থানীয় রাজনৈতিক পরিচয়ের কিছু অসাধু লোকজন। ফলে, এলাকার চোরাকারবারিদের সিন্ডিকেট চক্র বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। চক্রটি মাদক ও গরু পাচার, মাদক সেবন করিয়া সমাজিক পরিবেশ নষ্ট সহ উটতি বয়সের যুব সমাজকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে ।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ সেলিম মালিক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ' আমি এ থানায় নতুন এসেছি। মাদকের সাথে কোন আপোষ নয়। ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য গোড়ল ইউনিয়ন পুলিশ ফাঁড়ী ইনচার্জকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
মামলার বিষয়ে ফাঁড়ী ইনচার্জ মোস্তাবিন ইসলাম বলেন, ' মামলাটি প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেছে। দ্রুত অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন