বুধবার; ৬ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রি. Dashboard

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন দিন
সর্বশেষ :
বাড়ছে কুড়িগ্রামে কম খরচে চুইঝাল চাষ, বিক্রি হচ্ছে সারাদেশে কুড়িগ্রাম আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা সভাপতি গ্রেফতার কুড়িগ্রাম ফুলবাড়ীতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন ভূমি অফিসের নথি পুড়লো চোরের সিগারেটের আগুনে, ২ চোর গ্রেফতার ফুলবাড়ীতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন
16 December

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য “নিরন্তর ভালোবাসা” বিদ্যালয়

প্রকাশিত: সোমবার; ১৩ মে, ২০২৪ খ্রি. - ১০:১২ পি.এম. | দেখেছেন: ১৫৩ জন।

সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য “নিরন্তর ভালোবাসা” বিদ্যালয়

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

 

আনোয়ার সাঈদ তিতু,

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:

 

 

কুড়িগ্রামে বস্তিবাসীর সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য “নিরন্তর ভালোবাসা” নামে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা প্রদানের বিষয়টি স্থানীদের নজর কেড়েছে।

 

কুড়িগ্রাম জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ডাকবাংলা পাড়ার পাশে হরিজন সম্প্রদায়ের একটি বস্তি অবস্থিত। সেখানকার সুবিধাবঞ্চিত ২৯ জন শিশুকে নিয়ে “নিরন্তর ভালোবাসা” প্রতিষ্ঠা করেছে রাজ্য জ্যোতি-সহ স্থানীয় কিছু তরুণ। বর্তমানে স্কুলটিতে দুজন শিক্ষক শিশুদের শিক্ষা প্রদান করছেন। কোনরূপ সরকারি-বেসরকারী সহযোগিতা ছাড়াই ব্যক্তি উদ্যোগে চলছে স্কুলটি।

 

বস্তিটি হরিজন সম্প্রদায়ের বস্তি বলে পরিচিত হলেও সেখানে রয়েছে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের পরিবার। বস্তির পাশেই কুড়িগ্রাম জেলা শহরের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজার কুড়িগ্রাম পৌরবাজারের অবস্থান। ঐ এলাকার শিশুরা সবসময় বাজারে ঘুরে বেড়াত, কেউ কেউ জড়িত ছিল শিশুশ্রমের সাথে। গত ৩ মাস থেকে শিশুরা নিরন্তর ভালোবাসায় লেখাপড়া করছে। পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা, ছড়া, গান ও নাচের ক্লাস থাকায় শিশুদের সাথে আনন্দিত তাদের অভিভাবকেরাও।

 

কথা হয় স্কুলটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা রাজ্য জ্যোতির সাথে। রাজ্য জ্যোতি বলেন, “শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকারের একটি। শিক্ষা নিশ্চিত করতে পারলেই সমাজের অনেক সমস্যা ঘুচে যাবে। আমরা মনে করি,ওই বস্তির শিশুদের শিক্ষিত করতে পারলে তারা কাজের সুযোগ পাবে, ফলে দীর্ঘমেয়াদে বস্তিটি আর থাকবে না। আমাদের ইচ্ছে আছে বাচ্চাদের উচ্চশিক্ষা অবদি তাদের পাশে থাকার। আমরা তাদের বই কিনে দিয়েছি, খাতা, কলম, পেন্সিল, রাবার, রং পেন্সিল সবই দিয়েছি, দিচ্ছি এবং দিব। এখন দেখছি, ৩ মাসে বাচ্চারা অনেকটাই এগিয়েছে। কিছুই না জানা বাচ্চাগুলো এখন অ-ঔ, ক-ম , ১-৩০, A-Z পর্যন্ত বলতে ও লিখতে পারে। কেউ কেউ ছড়া বলতে পারে। আমাদের উদ্দেশ্য একটাই তারাও যেনো শিক্ষিত হয়, আর তাদের নিয়েই আমরা যেন সত্যিকারের একটা আলোকিত সোসাইটি গড়তে পারি।”

 

রাজ্য জ্যোতি আরো জানায়, বাচ্চাদের স্কুল ব্যাগ কিনে দেয়ার পরিকল্পনা আছে। শীঘ্রই টিফিন প্রিয়ডে হালকা খাবার দেয়া শুরু করতে যাচ্ছে তারা। সরকারি-বেসরকারি কোন সহযোগিতা না থাকায় এখন টিফিন দেয়া হচ্ছে অনিয়মিতভাবে। খেলাধুলারও ব্যবস্থা করা হয়েছে, যেনো বাচ্চাদের স্কুলের প্রতি আগ্রহ বাড়ে। বাচ্চাদের নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা আছে আমাদের।

 

 

 

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন