বিজ্ঞাপন
নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ জয়িতাদের সম্মাননা প্রদান
বিজ্ঞাপন
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
রাজশাহীর মোহনপুরে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উদ্যোগে সোমবার (৯ডিসেম্বর) বেলা ১১টার সময় র্যালি শেষে উপজেলা হলরুমে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আয়শা সিদ্দিকা। এবারের প্রতিপাদ্য “নারী-কন্যার সুরক্ষা করি, সহিংসতামুক্ত বিশ্ব গড়ি”।
আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ
দিবস উপলক্ষ্যে ‘জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ’ শীর্ষক কার্যক্রমের আওতায় উপজেলা পর্যায়ে নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ জয়িতাদের সংবর্ধনাসহ ৫টি ক্যাটাগরিতে ৫ জনকে ক্রেস্ট, সনদ ও উপহার প্রদান করা হয়।
উপজেলা পর্যায়ে শিক্ষা ও চাকুরিতে সফল ক্যাটাগরিতে মোসাঃ খাদিজা আক্তার, সফল জননী নারী ক্যাটাগরিতে মোছাঃ জেসমিন আক্তার, সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখা নারী ক্যাটাগরিতে মোসাঃ মরিয়ম বেগম, অর্থনৈতিকভাবে সফল নারী ক্যাটাগরিতে মোসাঃ শিউলী খাতুন ও নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলা নতুন উদ্যমে জীবন শুরু ক্যাটাগরিতে মোসাঃ নাসিমা আক্তার বানুকে শ্রেষ্ঠ জয়িতার সম্মাননা গ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা বন্দনা সাহা। তিনি বলেন, নারীরা সমাজের বোঝা নয়। পুরুষের পাশাপাশি আজ অর্থনীতিতে বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে নারীরাই।
অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মোহনপুর উপজেলা শাখা আমির মাওলানা জিএম আব্দুল আওয়াল, কৃষি অফিসার কামরুল ইসলাম। এসময় উপস্থিত ছিলেন পরিসংখ্যান কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন, একাডেমিক সুপারভাইজার আব্দুল মতিন, সমবায় অফিসার আনেছা দেলোয়ারা আন্জু, আইসিটি অফিসার শাহিদা আক্তার, সহকারী উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার আমিরুন নেছা,পল্লী বিদ্যুত এজিএম শওকত আরা,থানা পুলিশের এসআই সিরাজ উদ্দিন, মহব্বতপুর উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক শেখ আব্দুল আলিমসহ সভায় বিভিন্ন সরকারি- বেসরকারি দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তা- কর্মচারী, নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ জয়িতাবৃন্দ, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে আলোচকগণ বলেন, মহীয়সী নারী বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন নারীমুক্তি, সমাজ সংস্কার ও প্রগতিশীল আন্দোলনের পথিকৃত। বেগম রোকেয়া অগ্রসর মানসিকতা, দূরদর্শী চিন্তা, যুক্তিপূর্ণ মতামত তৎকালীন নারীসমাজকে জাগিয়ে তোলেন। বাঙালি মুসলিম নারীদের অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তিনি সর্বদা পর্দার অন্তরালে থেকে নারীশিক্ষা বিস্তারে উদ্যোগ নেন এবং মুসলমান মেয়েদের অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্তির পথ সুগম করেন।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন