রবিবার; ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রি. Dashboard

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন দিন
সর্বশেষ :
স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতির ওপর হামলা প্রতিবাদে মোহনপুরে বিক্ষোভ মিছিল রংপুর সাহিত্য-সংস্কৃতি পরিষদের ১১৭৬তম সাহিত্য বৈঠক অনুষ্ঠিত কুড়িগ্রামে কৃষক দলের নতুন আহবায়ক কমিটি নিয়ে দলবাজি ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় কুড়িগ্রামে আঃ লীগের ৮৫ নেতাকর্মীর নামে মামলা ফুলবাড়ীতে ১ দফা দাবিতে মানববন্ধন
16 December

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

রংপুরে আবু সাঈদ হত্যা মামলার ৬ আসামিসহ ৮ কিশোর মুক্ত

প্রকাশিত: রবিবার; ৪ আগস্ট, ২০২৪ খ্রি. - ০৩:৪২ এ.এম. | দেখেছেন: ৮৫ জন।

রংপুরে আবু সাঈদ হত্যা মামলার ৬ আসামিসহ ৮ কিশোর মুক্ত

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

বিশেষ প্রতিবেদক :

 

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংঘর্ষের ঘটনায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলার ছয় আসামিসহ আট কিশোর জামিনে মুক্তি পেয়েছে। গত শুক্রবার রাত সোয়া ১১টার দিকে তারা রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্ত হয়। জেল গেটেই পরিবারের সদস্যরা তাদের গ্রহণ করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার প্রশান্ত বণিক।

তিনি বলেন, মুক্তির আদেশ রাত সাড়ে ৯টার দিকে কারাগারে গেলে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়।

 

এর আগে রাত ৮টার দিকে এই শুনানি করেন লিগ্যাল এইডের আইনজীবী শামীম আল মামুন। শুনানি শেষে জামিন মঞ্জুর করেন রংপুর মেট্রোপলিটন চিফ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এফ এম আহসানুল হক রানা।

 

লিগ্যাল এইডের আইনজীবী শামীম আল মামুন বলেন, সরকারি উদ্যোগে লিগ্যাল এইডে এই শুনানি করা হয়। বিশেষ আদালত শুক্রবার রাত ৮টার দিকে শুনানি শেষে শিক্ষার্থী বিবেচনায় এই জামিন মঞ্জুর করেন।

 

রংপুর সিএমএম আদালতের জিআরও এসআই হাফিজ বলেন, শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রাতে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আদালত শুনানি শেষে তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।

 

আদালত সূত্র জানায়, জামিন হওয়া আট শিক্ষার্থীর মধ্যে আব্দুল্লাহ ইবনে জুবায়ের, মুহিন, আল মারজান, পাভেল মিয়া, আমির হামজা ওরফে আমির, মো. সৌরভ মিয়াকে তাজহাট থানা ভাঙচুর ও আবু সাঈদ হত্যা মামলার আসামি করা হয়।

বাকিরা হলো তৌফিক ওমর ধ্রব ও নিয়াজ আহমেদ রকি। তারা দুজন নাশকতা মামলার আসামি। এর মধ্যে আমির হামজা ও তৌফিক ওমর ধ্রব এইচএসসি পরীক্ষার্থী এবং পাভেল মিয়া এসএসসি পাস।

দিলরুবা খানম নামে এক অভিভাবক বলেন, আমার ছেলে পাভেল। সে দর্শনা স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি পাস করে সিটি কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য ২৬ তারিখে বের হয়। কিন্তু মডার্ন মোড় থেকে তাকে পুলিশ ধরে। আমি জানি সে নিরপরাধ। আমি সব মামলা থেকে তার অব্যাহতি চাই।

সহকারী পুলিশ কমিশনার (ভারপ্রাপ্ত আদালত) শুভ্রত ব্যানার্জি বলেন, আমরা বিভিন্নভাবে জানতে পারি তারা শিশু-কিশোর। পরে তাদের পক্ষে আদালতে আবেদন করা হলে শুনানি শেষে তাদের জামিন মঞ্জুর হয়।

তিনি বলেন, কোনো শিশু-কিশোর আটক বা গ্রেপ্তার থাকলে তাদের জামিন বিষয়ে বিবেচনা করা হবে।

আসামিপক্ষের আইনজীবী জোবায়দুল ইসলাম বুলেট জানান, তারা জামিনে মুক্তি পেলেও মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়া নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। আমরা চাই, তাদের এই মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হোক।

 

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন