রবিবার; ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রি. Dashboard

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন দিন
সর্বশেষ :
স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতির ওপর হামলা প্রতিবাদে মোহনপুরে বিক্ষোভ মিছিল রংপুর সাহিত্য-সংস্কৃতি পরিষদের ১১৭৬তম সাহিত্য বৈঠক অনুষ্ঠিত কুড়িগ্রামে কৃষক দলের নতুন আহবায়ক কমিটি নিয়ে দলবাজি ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় কুড়িগ্রামে আঃ লীগের ৮৫ নেতাকর্মীর নামে মামলা ফুলবাড়ীতে ১ দফা দাবিতে মানববন্ধন
16 December

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

সিলেটে কোরআন পোড়ানোর ঘটনায়, আটক-২

প্রকাশিত: মঙ্গলবার; ৮ আগস্ট, ২০২৩ খ্রি. - ০৫:৩৩ পি.এম. | দেখেছেন: ৩৪৪ জন।

সিলেটে কোরআন পোড়ানোর ঘটনায়, আটক-২

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

রবিবার (৬ আগস্ট) রাত ১১টায় হঠাৎ উত্তাল হয়ে পড়েছে সিলেট মহানগরের আখালিয়া এলাকা।

আখালিয়ার ধানুপাড়াস্থ আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপাল ও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে পবিত্র কুরআন শরিফ পুড়ানোর অভিযোগ তুলে সে এলাকায় স্থানীয় জনতার মাঝে উত্তেজনা দেখা দেয়।

খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপাল ও চেয়ারম্যানকে প্রতিষ্ঠানটির একটি কক্ষে আটকে রেখে ক্ষুব্দ জনতার। পুলিশ গিয়ে লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে  জনতাকে সরিয়ে ওই দু’ব্যক্তিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা কোরআন শরীফ পুড়িয়ে ফেলার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে- আটক দু’জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন- রাত ১১টার দিকে ওই স্কুলের সামনে কোরআন শরীফ পোড়ানোর দৃশ্য দেখেন স্থানীয় লোকজন। এ সময় তারা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন। এবং কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় ওই স্কুলের চেয়ারম্যান নুরুর রহমান ও শিক্ষক মাহবুবুল আলমকে গণপিটুনি দেয়। পরে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মখলিসুর রহমান কামরান ও পুলিশ গিয়ে তাদের জনতার হাত ধরে উদ্ধার করে স্কুলের একটি কক্ষে আটকে রাখেন।

এ ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে রাতে হাজারো জনতা বিক্ষুব্ধ হয়ে স্কুলের সামনে অবস্থান নেয়। এবং অভিযুক্ত দু’জনের শাস্তির দাবি করেন। এ সময় পুলিশ আটক দুই অভিযুক্তকে নিয়ে থানায় আসতে চাইলে জনতা বাধা দেয়।

এ সময় পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে আটক দু’ব্যক্তিকে নিয়ে থানায় চলে আসে। এর আগে জনতা সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কেও অবস্থান নিয়েছিলো। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর সদস্যরা রাত ২টার দিকে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। 

 

সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন- কোরআন শরীফ পোড়ানোর ঘটনায় আটক দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় তাদের সম্পৃক্ততা থাকার বিষয়টির প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। কোতোয়ালি থানার ওসি আলী মো. মাহমুদ জানিয়েছেন- এ ঘটনায় আটক দু’জনকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। রোববার রাতের ঘটনায় পুলিশের কয়েকজন সদস্যও আহত হয়েছেন বলে জানান তিনি।

 

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন