মোস্তাফিজার রহমান জাহাঙ্গীর স্টাফ রিপোর্টারঃ
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার পাশাপাশি দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে কোন কর্মসূচি পালিত হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দুটি হল উপজেলার গংগারহাট মোহাম্মদ আলী সরকার উচ্চ বিদ্যালয় এবং গংগারহাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। এমনকি গত বছরের বিজয় দিবস উদযাপনের ছবি নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেছেন এক প্রধান শিক্ষক এমন অভিযোগ উঠেছে। মহান বিজয় দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন না করায় ক্ষোভ জানিয়েছেন এলাকাবাসী। ঘটনা তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন। আর শিক্ষা কর্মকর্তা জানিয়েছেন তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
স্থানীয়রা জানান, মহান বিজয় দিবসের মতো গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়নি, যা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি অবহেলা প্রদর্শন করে।
স্থানীয় বাসিন্দা হাশেম আলী ও জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। শিক্ষকদের অবহেলার কারণে শিক্ষার্থীরা বিজয় দিবসের তাৎপর্য থেকে বঞ্চিত হয়েছে। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
অভিভাবক শহিদুল ইসলাম বলেন, ' বিজয় দিবসে শহীদদের শ্রদ্ধা না জানানো অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। শিক্ষার্থীরা এভাবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও চেতনা থেকে দূরে সরে যাবে।
গংগারহাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী আবুল হোসেন জানান, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত না থাকায় শহীদ মিনারে কোনো শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়নি।
গংগারহাট মোহাম্মদ আলী সরকার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হামিদুল হক বলেন, “বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিল না। তাই শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করা সম্ভব হয়নি। তবে আমরা জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও শিক্ষকদের নিয়ে আলোচনা সভা করেছি। গত বছরের শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের ছবি পোস্ট করার বিষয়টিও আমি স্বীকার করছি।
গংগারহাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারুক হোসেন বলেন, “শিক্ষার্থী উপস্থিত না থাকায় শহীদ মিনারে পুষ্প অর্পণ করা সম্ভব হয়নি। তবে আমরা জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও আলোচনা সভা করেছি।
ওই দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকের কাছে মহান বিজয় দিবসে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন না করা ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ না করার বিষয়ে জানতে চাইলে তারা কথা বলতে রাজি হননি।
এ বিষয়ে ফুলবাড়ী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহাতাব হোসেন বলেন, “বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে জানলাম। তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”